,

বানিয়াচংয়ে বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে পানি ॥ দূর্ভোগে হতাশ সাধারণ মানুষ

বানিয়াচং প্রতিনিধি ॥ অল্প বৃষ্টিতেই বানিয়াচং উপজেলা সদরের পাকা-কাঁচা সব কয়টি সড়কেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে পবিত্র রমজান মাসে চরম দূর্ভোগে হতাশে সময় পার করছেন সাধারণ মানুষ আর বেশি ভাড়া দিচ্ছেন এসব রাস্তার পথচারিরা। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এশিয়ার বৃহত্তর গ্রাম হিসেবে পরিচিত বানিয়াচং। যে গ্রামে রয়েছে প্রায় ছোট বড় ২ শতাধিক মহল্লা আর এ মহল্লা নিয়ে গঠিত হয়েছে উপজেলা সদরে ৪টি ইউনিয়ন যেমন ১নং উত্তর-পুর্ব, ২নং উত্তর-পশ্চিম, ৩নং উত্তর-দক্ষিন এবং ৪নং পুর্ব-পশ্চিম।  সদর ৪টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক পাকা-কাঁচা সড়ক রয়েছে। পাকা সড়ক গুলির পাশে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বেশির বাগ সড়ক ভেঙ্গে বিশাল বিশাল খানাখন্দকে পরিণত হয়েছে আর বৃষ্টির পানি জমে থাকে। ফলে জন-সাধারণ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে চলাচল করতে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়া রিক্সা ভ্যান ও টমটম গুলি চলাচলে বিঘœ ঘটায় রোগীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। যে সমস্ত যানবাহন চলছে সে গুলিতে চরতে গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। বেহাল দশা রাস্তা গুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বড়বাজার থেকে আদর্শ বাজার পাকা সডক, বড়বাজার থেকে ৫/৬নং বাজার পাকা সডক, গ্যানিংগঞ্জ বাজার থেকে আদার বাড়ী গামী পাকা সড়ক ও বাবুর বাজার থেকে বডবাজারগামী পাকা সড়ক। এদিকে ওই এলাকায় রয়েছে অসংখ্য কাঁচা রাস্তা। ওই রাস্তা গুলির আরও ব্যাহাল চিত্র। কোন কোন স্থানে পানি জমে মাছ চাষের উপযুগী হয়ে পড়েছে। কোন কোন স্থানে কাদা পানি একাকার হয়ে সৃষ্টি হয়েছে মরণ ফাঁদ। ফলে উপজেলা সদরের সাধারণ মানুষ পবিত্র রমজানে  দূর্ভোগে পড়েছেন। উপজেলা সদরের আদম খানীর মহল্লার সিরাজ মিয়া জানান, রাস্তাগুলি সংস্কার ড্রেনেজ ব্যবস্থা এবং পুকুরে পানি আটকিয়ে রাস্তায় জলাবদ্বতা সৃষ্টি কারীদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও শাস্তি দিয়ে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে তুলতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান তিনি। এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমদ জানান, বানিয়াচং উপজেলা সদরের প্রায় ২ লক্ষ মানুষের বসবাস এবং ছোট বড় শতাধিক উপড়ে কাঁচা পাকা রাস্তা রয়েছে যা দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ চলা চল করছেন। প্রতিবছরই আমরা কাচা এবং পাকা রাস্তা সরকারী অর্থয়ানে নির্মাণ করি কিন্তু রাস্তার পাশে প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ অথবা পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না রাখায় এবং বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টির কারণে রাস্তার উপর দিয়ে পানি চলাচল করে তা সামান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে গাড়ীর চাকার আঘাতে রাস্তার ইট কংকিট উটে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। সে গর্তে বাই সাইকেল, মটর সাইকেল, টমটম, রিক্সা এবং ভ্যানসহ বিভিন্ন জানের চাকা পরে গাড়ি উল্টে প্রতিনিয়ত ঘটছে র্দূঘটনা এবং কিছু অসাধু ব্যক্তিরা পুকুরের পানি আটকিয়ে রাস্তায় জলাবদ্বাতা সৃষ্টি করেন। তাই আমরা উপজেলা পরিষদের মাসিক মিটিংয়ে এসব বিয়য়ে সকল চেয়ারম্যানদেরকে অবহিত করা হয় তাই আমরা উপজেলা সদরসহ পর্যায়ক্রমে সকল পাকা রাস্তার দুইপাশে ড্রেনেজ অথবা নিচ দিয়ে বড় পাইব লাগিয়ে পানি চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর